ঋণ-এলসিতে অগ্রণী ব্যাংকের ক্ষতি ২২৫ কোটি

জামানত ছাড়াই অপরিশোধিত ভোজ্য তেল আমদানির জন্য বারবার নগদে এলসি খোলার অনুমোদন এবং পুনঃতফসিল করা ঋণ আদায় না করায় অগ্রণী ব্যাংকের  ২২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2016, 02:50 PM
Updated : 20 Sept 2016, 03:02 PM

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভায় এ তথ্য দিয়েছে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংকের ২০০৯-১০ সালের ঋণ পুনঃতফসিল করা ও সুদ মওকুফ সম্পর্কিত ২৪টি নিরীক্ষা আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়। এর সঙ্গে জড়িত টাকার পরিমাণ ৬৮০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সহায়ক জামানত গ্রহণ ছাড়া এলসি খোলায় সহায়তাকারী ব্যাংক কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।

এছাড়া ঋণ গ্রহণ করা কোম্পানিগুলো যাতে অন্য কোনো ব্যাংক থেকে ভিন্ন নামে এলসি খুলতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোকে (সিআইবি) দিয়ে ঘটনার তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

কার্যপত্র অনুযায়ী, একটি নিরীক্ষা আপত্তিতে বলা হয় অগ্রণী ব্যাংক একটি প্রতিষ্ঠানের জমির দাম বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে ঋণ দেওয়ায় এবং বারবার পুণঃতফসিল করার পরও সেই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাংকটির ১৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অন্য একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প ও সিসি হাইপো ঋণের দায় পরিশোধে ব্যর্থ হলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। উল্টো অনিয়মিতভাবে ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে, যে কারণে ব্যাংকের ৪৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কমিটির সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, আবদুস শহীদ, শামসুল হক, মইন উদ্দীন খান বাদল ও রেবেকা মমিন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।