সোমবার এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজস্ব আদায় বাড়াতে কর্মকর্তাদের এই কৌশলের পাশপাশি আরও চারটি দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিধি বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাজেটে আয়কর বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব এনবিআরের।
নজিবুর বলেন, “মাঠ পর্যায়ের কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তাদের যথেষ্ট চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত সব প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিকে এখনও করের আওতায় আনা যায়নি।
“এখনও বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ বিরাজ করছে। আয়কর, শুল্ক এবং ভ্যাট বিভাগের এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”
এজন্য টিমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি জরুরি ‘ব্রেইনস্টর্মিং সেশন’ আয়োজনের নির্দেশনাও দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
ওই ৫ দফা নির্দেশনা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনার মাধ্যমে একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে বলেছেন তিনি।
এনবিআরের আয়কর, শুল্ক এবং ভ্যাট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কমিশনার/মহাপরিচালকদের যে পাঁচটি দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হল-
# আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে মাঠপর্যায়ে কর রাজস্বের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রেরণ।
# মাঠ পর্যায়ের রাজস্ব কর্মকর্তাদের পারফরমেন্স মূল্যায়ন ও মাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রেরণ।
# মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন ও তাদেরকে রাজস্ববান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের কৌশল প্রণয়ন।
# তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ফেসবুকে নিয়মিত হালনাগাদ করা। বিশেষ করে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প, ট্যাক্স অনলাইন প্রকল্প এবং অ্যাসাইকুডা ওর্য়াল্ড সিস্টেম কার্যক্রমকে সফল করতে সর্বোতভাবে প্রয়াস চালানো।
# আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের মহাপরিচালক/কমিশনারদের মধ্যে মাসিক পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা। এতে চেয়ারম্যান, এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
রাজস্ব সংগ্রহের কাজে সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে সরাসরি তার পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এনবিআর প্রধান।