রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কার্যপত্র থেকে জানা যায়, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের এক বছরের (২০১৬-১৭) কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, রেশম শিল্পকে বাঁচাতে এবং উৎপাদন বাড়াতে তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে বিদেশি সুতা ও বস্ত্রের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করবে। দেশের রেশম শিল্পকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ নিতে হবে।
বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেশম চাষীদের বেশিরভাগ প্রান্তিক ভূমিহীন। তাদের যথেষ্ট পরিমাণে মূলধন নেই। প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতাও অপ্রতুল। তাদের উৎপাদিত সুতা ও গুটি বাজারজাত করায় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।যে কারণে চাষীরা পেশা পরিবর্তন করছেন, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রেশম কারখানা। বর্তমানে রেশমের চাষ প্রকল্প নির্ভর হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রেও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার অভাব রয়েছে।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, “অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে বর্তমানে রেশম শিল্পের অবস্থা নাজুক। কৃষকেরা তুঁতগাছ ও গুটি পোকার চাষ বন্ধ করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। এটা বন্ধ করতে হলে রেশম শিল্প খাতে সরকারিভাবে প্রণোদনা দিতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশি সুতা ও বস্ত্রের আমদানি শুল্ক বাড়াতে হবে।”
কমিটি এ বিষয়ে আরও আলোচনা করে সুপারিশ চূড়ান্ত করবে বলে জানান তিনি।
রেশম শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং গবেষণার মাধ্যমে রেশম প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য বর্তমানে ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্রকল্প চলছে। আগামী বছর এসব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে রেশম চাষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আওতায় ৩৩ জেলার ৯০টি উপজেলায় ৪১২ জন চাষী তুঁতগাছ চাষ করছেন। তাদের গাছের সংখ্যা ৫৫ হাজার ২৫৩টি।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আযম, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও এনামুর রহমান অংশ নেন।