ফিলিপিন্স থেকে ১২২ কোটি টাকা ‘শিগগির’ আসছে: বাংলাদেশ ব্যাংক

চুরি যাওয়া রিজার্ভের একটি অংশ ফিলিপিন্স থেকে ‘শিগগির’ ফেরত আনা সম্ভব হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 06:52 PM
Updated : 30 August 2016, 06:52 PM

এই অর্থের পরিমাণ ১৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২২ কোটি টাকা) বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিপিন্সের ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং বাংলাদেশের চুরি হওয়া অর্থের ১৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার দেশটির এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের কাছে জমা দিয়েছেন। ফিলিপিন্সের আইন অনুযায়ী সে দেশের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।এখন আদালত আদেশ দিলে ‘খুব শিগগিরই’ বাংলাদেশ ১২২ কোটি টাকা ফেরত পাবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এই টাকা ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের চারটি হিসাবে জমা হয়। সেখান থেকে টাকা ক্যাসিনোতে চলে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক কমিটিকে জানিয়েছে, ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় রিজাল ব্যাংককে ২১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা) জরিমানা করেছে।

কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারের বিষয়ে তাদের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তারা মনে করে, ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজাল ব্যাংককে জরিমানা করায় জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাংকটির জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি পুরো টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”

রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৩০ মে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

ওই প্রতিবেদন প্রকাশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মুহিবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা নিজেরাই এখনো প্রতিবেদনটি পাননি। এটি অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা আছে।”

এর আগে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি একাধিকবার ব্যাংকের ঋণের সুদের হার এক অংকে (দশের নিচে) নামানোর সুপারিশ করেছিল। এই সুপারিশ কার্যকর না হওয়ায় বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংককে সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।

কমিটির সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সদস্য নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও মুহিবুর রহমান মানিক অংশ নেন। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।