বিইআরসি জানিয়েছে, ‘বাস্তবতার নিরিখে’ বিবেচনা এবং প্রস্তাবের ‘অনুপুঙ্খ পর্যালোচনা’ করে আগামী ৯০ দিন পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেট্রোসেন্টারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত শুনানির শেষ দিনে পাইকারি পর্যায়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পেট্রোবাংলা প্রতি ঘনফুট গ্যাস ৬.২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০.৭৯ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের কারণ হিসেবে গ্যাস উৎপাদন ও বিতরণ রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৮৮ শতাংশ বেতন-ভাতা বৃদ্ধিকে দেখানো হয়েছে।
শুনানি ভোক্তা সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, “যার ভিত্তিতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব এসেছে, তা যুক্তিযুক্ত নয়।
“বিইআরসির প্রতি আমরা আহ্বান জানাব, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি আসার আগ পর্যন্ত এই মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ক যাবতীয় প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হোক।”
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা কখনোই বলব না গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে। আমাদের ৯০ দিনের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে। যে প্রস্তাব এসেছে তা অনুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেই তা জানানো হবে।”
বিইআরসি কমিশনার মাকসুদুল হক বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের বাস্তবতার নিরিখে বিচার করতে হবে।”
এর আগে গত ৮ অগাস্ট শুনানিতে আবাসিকে এক চুলার মাসিক বিল ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১০০ টাকা এবং দুই চুলা ৬৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাস।