আয়ের দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এই নয় জনগোষ্ঠী হচ্ছে- বেদে, কোমার, জেলে, কামার, স্বর্ণকার, বাঁশ ও বেত প্রস্তুতকারক, কাঠ মিস্ত্রী, মিষ্টি প্রস্তুতকারক ও নাপিত।
দেশে এসব জনগোষ্ঠীর ৫৩ লাখ মানুষ রয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “সরকার আগামী ১/২ বছরের মধ্যেই প্রকল্প নিয়ে আসবে।”
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার (একনেক) পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রাথমিকভাবে নয় গোষ্ঠীর জন্য আলাদা আলাদা প্রকল্প নেওয়া হবে।”
মন্ত্রী জানান, আগামীতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা বাড়বে। বিশেষ করে ছোট প্রকল্পের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে বেদে পরিবার রয়েছে ১৫ হাজার ২৬২টি, এসব পরিবারের জনসংখ্যা ৬৯ হাজার ২১ জন।
কুমার পরিবার রয়েছে ৩১ হাজার ৭৪২টি; জনসংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ জন। জেলে পরিবার রয়েছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬২টি; জনসংখ্যা ৩১ লাখ ৯ হাজার ৯৩৩ জন। কামার পরিবার রয়েছে ৩২ হাজার ৪৫৩টি; জনসংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৩ জন।
স্বর্ণকার পরিবার রয়েছে ৪৪ হাজার ৮৮৭টি; জনসংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬২ জন। বাঁশ ও বেত প্রস্তুতকারক রয়েছে ৮১ হাজার ৫৯৯টি; জনসংখ্যা ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯২ জন। কাঠ মিস্ত্রি পরিবার রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৭টি; জনসংখ্যা ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬০১ জন।
আর ৫৩ হাজার ৬৯৭টি মিষ্টি প্রস্তুতকারক পরিবারের জনসংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জন; ৮১ হাজার ২২১টি নাপিত পরিবারের জনসংখ্যা ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৪ জন বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।