৪৩ বিলিয়ন ডলারের এলসি

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা গত অর্থবছরে পণ্য আমদানির জন্য সবমিলিয়ে চার হাজার ৩৩৩ কোটি ৫৩ লাখ (৪৩.৩৩ বিলিয়ন) ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খুলেছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2016, 01:07 PM
Updated : 30 July 2016, 01:07 PM

এই অংক তার আগের বছরের চেয়ে দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।

বিশ্ববাজারে দাম কম থাকায় খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানি তেলের এলসি খোলার পরিমাণ ছিল খানিকটা কম। তবে তবে শিল্পের কাঁচামাল এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানি বেড়েছে।

পণ্য আমদানি সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য মোট ৪৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ৪৩ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার।

এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে দশমিক ৬২ শতাংশ।

তথ্যে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এক হাজার ৬৮২ কোটি ৮০ লাখ (১৬.৮৩ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।

আর মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতংশ।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ৩৫৩ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৩০৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার।

অন্যদিকে চাল ও গম আমদানির জন্য গত অর্থবছরে ১০৯ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ কম।

আগের অর্থবছরে এই দুটি পণ্য আমদানির জন্য ১৭৪ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।

গত অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ২২০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরে ছিল ৩৩৭ কোটি ২৮ লাখ ডলার।

এ হিসাবে তেল আমদানির এলসি কমেছে ৩৫ শতাংশ।

এই কয়েকটি পণ্যের বাইরে অন্য সব পণ্য আমদানির জন্য ১ হাজার ৮৪২ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সবমিলিয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৩৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।