রোববার রেললিংক স্থাপন বিষয়ক এক সমন্বয় সভায় মন্ত্রী বলেন, “২০১৮ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে একসাথে বাস এবং ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যে মাওয়া হতে সেতুর উপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেললিংক স্থাপনের কাজ শেষ হবে।”
জানুয়ারিতে রেললিংক স্থাপনের কাজ শুরু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে ফতুল্লা হয়ে সেতুর উপর দিয়ে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এ রেলপথে ফরিদপুর, যশোরের পাশাপাশি পরবর্তীতে বরিশালকেও যুক্ত করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্প গত ৩ মে একনেকের অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০ বছর মেয়াদে ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে চীন, যার জন্য সুদ গুণতে হবে ২ শতাংশ হারে। বাকি ১০ হাজার ২৪০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল জোগান দেওয়া হবে।
প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল লাইন নির্মাণ করা হবে। চলতি বছরের জুন মাসে শুরু করে প্রকল্পটি ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ইতোমধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে রেললাইন স্থাপনে চীন সরকারের মনোনীত রেলওয়ে গ্রুপ কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, শিগগিরই বাণিজ্যিক চুক্তি হবে।
পদ্মাসেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেল লাইন এবং প্রস্তাবিত চারলেন মহাসড়ক নির্মাণে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে সভায় একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে বলে জানান মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে যুগ্মভাবে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।