মাতারবাড়ির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আনতে দুই প্রকল্প

মহেশখালীর মাতারবাড়িসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন বড় বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2016, 01:55 PM
Updated : 21 July 2016, 01:55 PM

এজন্য ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্টেনদেনিং’ এবং ‘মাতারবাড়ী-মদুনাঘাট ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ নামে দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে মাতারবাড়ি কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রথমে চট্টগ্রামের মদুনাঘাটে আনা হবে। এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯১ কোটি টাকা।

‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্টেনদেনিং’র মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে আনার পর জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে সারাদেশে দেওয়া হবে মাতারবাড়ীর বিদ্যুৎ। এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে একনেক সভায় প্রকল্প দুটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় এ দুই প্রকল্পসহ আট উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন হয়। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা।

এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৩ হাজার ২৭ কোটি টাকা জোগান দেওয়া হবে, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ৫৪০ কোটি টাকা। প্রকল্প সহায়তা থেকে জোগান হবে ৪ হাজার ৩০১ কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে কয়লার ব্যবহার বাড়াতে যাচ্ছে।

মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কেন্দ্রের ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে যোগ করতে প্রথমে চট্টগ্রামের মদুনাঘাট পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মেইন পাওয়ার গ্রিড স্ট্রেনদেনিং’ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট থেকে চট্টগ্রামের মদুনাঘাট পর্য়ন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো হচ্ছে- ‘ঠাকুরগাঁও চিনিকলের পুরাতন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন এবং সুপার বিট থেকে চিনি উৎপাদনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ৪১১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

৭৯৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে একনেকে।

অনুমোদিত ‘শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (২য় পর্যায়) প্রকল্পে’ ব্যয় হবে ৩৫২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

অনুমোদিত ‘তারাইল-পাঁচুরিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ’ ১ম সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩২২ কোটি টাকা।

২৬৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘পদ্মা নদীর ভাঙন হতে রাজশাহীর মহানগরীর অন্তর্ভুক্ত সোনাইকান্দি হতে বুলনপুর পর‌্যন্ত এলাকা রক্ষা’ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে।

এছাড়া ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ ফেজ-৩ প্রকল্পের ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় ঢাকা মহানগরীর এলাকার ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক পানি সরবরাহ সেবার মান উন্নয়ন এবং ঢাকা ওয়াসার ফাইন্যান্সিয়াল মডেলিং ও কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।