পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ট্রেন যাবে যশোরে

ঢাকা-যশোর রেলপথ নির্মাণে সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার, যে কাজটি করবে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2016, 12:11 PM
Updated : 21 July 2016, 07:37 AM

বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে কুষ্টিয়া হয়ে যশোর-খুলনায়  রেল যোগাযোগ রয়েছে। মাওয়ায় পদ্মা সেতু হলে ফরিদপুর হয়ে ট্রেন যাবে যশোরে।

বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। আগামী ২০১৮ সাল নাগাদ এই সেতুতে চলাচলের আশা করা হচ্ছে।

সচিবালয়ে বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ঢাকা-যশোর রেলপথ স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনে ২৭ হাজার ৬৫২ কোটি ৫৭ লাখ টাকায় চায়না রেলওয়ে গ্রুপকে কাজ দেওয়া হয়েছে।

একনেকে এই প্রস্তাবের মূল প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পের প্রথম প্যাকেজ বুধবার অনুমোদন পেয়েছে।

গত ৩ মে একনেকে অনুমোদিত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০ বছর মেয়াদে ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে চীন, যার জন্য সুদ গুণতে হবে ২ শতাংশ হারে। বাকি ১০ হাজার ২৪০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল জোগান দেওয়া হবে।

‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল লাইন নির্মাণ করা হবে।

চলতি বছরের জুন মাসে শুরু করে প্রকল্পটি ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে বুধবার ছয়টি প্রস্তাব পাস হয়।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কলাপাড়া-বালিয়াতলী-গঙ্গামতী সড়কে বড় বাড়িয়াতলী আন্ধারমানিক নদীর উপরে ৬৩৮ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণে ম্যাক্স রেইন ক্যান নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮২ টাকা।

১৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩০টাকার ‘প্রজেক্ট ডিজাইন অ্যাডভান্স পিডিএফর রেজাল্ট বেইজড রুরাল কানেক্টিভিটি প্রোগ্রামে’ অনুমোদন দিয়েছে। স্পেনিশ কোম্পানি ইপতিসা সার্ভিসেস দি ইনজেনিয়ারাস এই কাজ পেয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপন করা ১৪৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার ফসফরিক এসিড আমদানি অন্য প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রোটন ট্রেডার্স এই কাজ পেয়েছে।  

এছাড়া ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি সংক্রান্ত ৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৬০০ টাকার প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কাজ পেয়েছে বেলারুশিয়ান পটাশ কোম্পানি।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ইলেকশন কমিশন রিসোর্স সেন্টারের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ৮৩ কোটি ৭১লাখ ১৪ হাজার ৭৯৬ টাকার প্রকল্পে বেড়ে ১০১ কোটি ৬২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৪৬ টাকা হয়েছে। বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিইএএল-টিবিএল কনসোর্টিয়াম এই কাজ করছে।

এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিও বৈঠক হয়। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলেও পরে অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে তারা প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেয়।