মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংশোধিত এডিপির বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবদেন তুলে ধরেন।
২০১৫-১৬ অর্থব্ছরে ৯৩ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়নের সং শোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে পুরো অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে ৮৬ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “১২ মাসে ৯২ দশমিক ৪৯ শতাংশ আরএডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে।”
২০১৪-১৫ অর্থবছর এডিপিড বাস্তবায়নের হার ছিল ৯১ শতাংশ, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৯৩ শতাংশ এবং ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ৯১ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এডিপি বাস্তবায়নে তিনটি মন্ত্রণালয় বরাদ্দের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে।
এর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১২১ শতাংশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি মন্ত্রণালয় ১২০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ ১০১ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় মোট বরাদ্দের ৯৯ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে পেরেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ করা তথ্যে দেখা গেছে, এডিপি বাস্তবায়নে জড়িত ৫৪টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে ২৯টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ বরাদ্দের ৯০ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে দুর্নীতি দমন কমিশন, সংস্থাটি কোনো অর্থই ব্যয় করতে পারেনি।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ২৩ শতাংশ, নির্বাচন কমিশন ৩৩ শতাংশ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ৪২ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে পেরেছে।