সেই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট পুরোপুরি অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উৎসে করসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব সংশোধনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
প্রথা অনুযায়ী, সমাপনী বক্তব্য দিতে এসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পরে প্রধানমন্ত্রীর এসব সুপারিশ বাজেট প্রস্তাবে গ্রহণ করেন। সমাপনী বক্তব্যের পর তিনি ২০১৬ সালের সংশোধিত অর্থবিল পাসের জন্য সংসদে তুলবেন।
গত ২ জুন আসন্ন নতুন অর্থবছরের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন মুহিত।
সেখানেই তিনি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।
কিন্তু ওই হারে উৎসে কর দিতে হলে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন বিজিএমইএসহ এ খাতের পাঁচ সংগঠনের নেতারা।
বুধবার বাজেট প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তৈরি পোশাকের উৎসে কর কমানোর জন্য পোশাক শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে তাদের অনুরোধ বিবেচনা করে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করছি।”
প্রতিবারই বাজেট উপস্থাপনের পর সংসদ সদস্যদের এবং সংশ্লিষ্টদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পাসের সময় কিছু পরিবর্তন আসে।
এবার কী ঘটছে- জানতে চাইলে মুহিত আগের দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসবে না। কর সংক্রান্ত ছোটো-খাটো কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।”