অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জন্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত বাজেট চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি।
বাজেটের সংক্ষিপ্তসারে ভর্তুকি প্রস্তাবের যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তাতে কৃষিখাতে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আগে জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি থাকলেও গত প্রায় দুবছর ধরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় কৃষিই এখন ভর্তুকি ও প্রণোদনার শীর্ষে।
প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিখাতে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের থেকে প্রায় ২৯ শতাংশ বেশি। সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি ধরা হয় ৭ হাজার কোটি টাকা।
কৃষির পরই বেশি ভর্তুকি প্রস্তাব করা হয়েছে জনপ্রশাসন খাতে। এখাতে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ৫১ শতাংশ ভর্তুকি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিই এখাতে ভর্তুকি বাড়ানোর অন্যতম কারণ।
সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যানে খাতে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়িয়ে আগামী বাজেটের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে এক হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।
জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় প্রায় ২১ শতাংশ ভর্তুকি বাড়িয়ে ৬৬৬ কোটি টাকা করা হয়েছে। আর প্রতিরক্ষায় ভর্তুকি ও প্রণোদনা প্রায় ২ শতাংশ বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৬৪ কোটি টাকা।