নতুন অর্থবছরের বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে পার্টি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, বাজেট প্রস্তাবনার ভিত্তি হলো পুঁজিবাদের নয়া-উদারবাদী প্রতিক্রিয়াশীল দর্শন। এই বাজেটে গরিব জনগণের সম্পদ মুষ্ঠিমেয় লুটেরা ধনিকের হাতে প্রবাহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তারা বলছে, এই বাজেটের আসল লক্ষ্য হলো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশি-বিদেশি লুটপাটকারীদের পকেট ভারি করা।
এবারের বাজেটে পরোক্ষ করের পরিমাণ ও মাত্রা বাড়িয়ে এবং বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মের কাঁধে বিশাল ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সিপিবি বলছে, বাজেটের পরিমাণকে তিন লাখ চল্লিশ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এই অর্থের বেশিরভাগ খরচ হবে পূর্বের ঋণ পরিশোধ, বিশাল সিভিল-মিলিটারি প্রশাসনের রক্ষণাবেক্ষণ, বিলাস দ্রব্য আমদানি, অপচয়, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রকারের সিস্টেম লস, কর-রেয়াতের নামে ধনিক শ্রেণিকে বিশাল ভর্তুকি প্রদান ইত্যাদি কাজে।
এর বাইরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ এবারও অব্যাহত রাখার সমালোচনা এসেছে দলটির পক্ষ থেকে।
“এর মাধ্যমে অর্থনীতিতে লুটপাটের ধারা আরও জোরদার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধনিকে আরো ধনি এবং গরিবকে আরও গরিব করা, ধন-বৈষম্য ও শ্রেণি-বৈষম্য বৃদ্ধি করা, সামাজিক অস্থিরতা ও নৈরাজ্য বৃদ্ধি করা ইত্যাদি হবে এই বাজেটের ফলাফল।”
কয়েকটি মেগা প্রজেক্টের জন্য বড় আকারের পৃথক থোক বরাদ্দ রাখা হলেও স্থানীয় সরকারের জন্য দাবিকৃত বাজেটের কমপক্ষে ৩৩% থোক বরাদ্দ না রাখার সমালোচনা করা হয় বিবৃতিতে।