বাজেটে ৭.২% প্রবৃদ্ধির আশা

সাত দশমিক দুই শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যাতে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2016, 11:05 AM
Updated : 2 June 2016, 11:33 AM

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন মুহিত।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। আমি মনে করি, অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের চলমান প্রচেষ্টার ফলে এ ধারা ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও বজায় থাকবে। সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ও বাস্তবায়ন বাড়বে।”

মুহিত আশা করছেন, নতুন বেতন কাঠামোতে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দ্রুত  বাড়বে বলে ব্যক্তিখাতে ভোগ-ব্যয় বাড়াবে।

আর বাংলাদেশের পণ্যের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অর্থনীতিতে গতিশীলতা আসার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ও বাড়াবে বলে তিনি ধারণা করছেন।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিদেশে কর্মী পাঠানোর হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই প্রবাস আয়ে গতিশীলতা আসবে বলে মুহিতের আশা।

“সর্বোপরি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করছি। এ সব বিবেচনায় আমরা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।”

পদ্মা সেতুর নির্মাণযজ্ঞ (ফাইল ছবি)

বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। কাটছাঁটের পর সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা।

চলতি বাজেটে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নয় মাসের প্রাক্কলন অনুযায়ী অর্জিত হওয়ার কথাও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

নতুন বাজেটে চলতি বাজার মূল্যে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) আকার ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৬১ হাজার ১৭ কোটি টাকা।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছিল ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা হয়।