অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতি বেড়েছে

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে বৈদেশিক সহায়তার ছাড় ও প্রতিশ্রুতি দুটোই গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।

জাফর আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2016, 01:27 PM
Updated : 29 May 2016, 01:27 PM

অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত বৈদেশিক সহায়তা ছাড় হয়েছে ২৬৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি।

গত অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ছাড় হয়েছিল ২৩৮ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার দাতাদের কাছ থেকে ৩৬৬ কোটি ডলারের বৈদেশিক অর্থছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে বাকি দুই মাসে আরও প্রায় ৯৮ কোটি ডলার ছাড় করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত অর্থবছরের তুলনায় এবার বেশি ছাড়ের টার্গেট থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ছাড় বাড়বে। প্রকল্প বাস্তবায়ন গতি বাড়াতে পারলে অর্থছাড় আরও বাড়বে।

“তারপরও লক্ষ্যমাত্রাকে ধাওয়া করে ছাড় করতে পারা অবশ্যই কৃতিত্বের বিষয়। বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দাতাদের কাছ থেকে অর্থছাড় করতে পারব বলে আমি আশাবাদী।”

চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আগের বছরের তুলনায় দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে।

গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সরকার ৪৩১ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পেরেছে; যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার বেশি।

গত অর্থবছরের একই সময়ের মধ্যে সরকার দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পেরেছিল ২৭৫ কোটি ডলারের।

চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি) ডলার প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে।

তা পূরণ করতে হলে বাকি দুই মাসে সরকারকে আরও ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায় করতে হবে।

অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন মনে করেন, প্রতিশ্রুতি আদায়েও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে ইআরডি।

“গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ প্রতিশ্রুতি আদায় করা অবশ্যই কৃতিত্বের।”

অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

চলতি মাসেই বিশ্ব ব্যাংক ও জাইকাসহ বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে জানিয়ে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ফরিদা বলেন, শিগগির আরও বেশ কিছু চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সরকার দাতাদের পাওনা থেকে পরিশোধ করেছে ৮৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। এক্ষেত্রেও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম পরিশোধ করতে হয়েছে। গত অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত পরিশোধ করতে হয় ৯৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

এ বিষয়ে ইআরডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশি টাকার মান শক্তিশালী ও স্থিতিশীল থাকায় পরিশোধের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।