বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও শ্রীলংকা) নির্বাহী পরিচালক সুভাস চন্দ্র গ্রেগ সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে এনিয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
চিঠিতে বলা হয়, “বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এআইডিএ) বা কম সুদে ঋণ গ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটি ক্রেডিট তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার যোগ্য।”
তবে স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটি ক্রেডিট ফান্ডের আওতায় ঋণ এআইডিএ এর ঋণ থেকে অনেক কঠিন শর্তের।
এআইডিএ তহবিল থেকে যেখানে বাংলাদেশ বর্তমানে মাত্র দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ঋণ পায়, সেখানে প্রস্তাবিত অতিরিক্ত তহবিল থেকে ঋণ নিতে হলে সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ পর্যন্ত সুদ গুণতে হবে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, “একইসঙ্গে এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদও অনেক কম।
“বাংলাদেশ চাইলে ২০১৭ সালের মধ্যে এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারে।”
ইআরডির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, “বিশ্বব্যাংকের এ প্রস্তাবের ফাইল অর্থমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। তিনি এখনও কিছুই জানান নি। বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাবিত ঋণ নেব কি নেব না- তা মন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থমন্ত্রণালয়ের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংক বর্তমানে সহজ শর্তে বা ছয় বছরের রেয়াতকালসহ মাত্র দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে যে ঋণ দিচ্ছে, তার অতিরিক্ত ঋণের প্রয়োজন হলেই প্রস্তাবিত এ ঋণ নিতে পারবে।
তবে এই ঋণ ‘নেওয়া না নেওয়া বাংলাদেশের ইচ্ছা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে সহজ শর্তের ঋণ ও অনুদান মিলে ১২০ কোটি ডলার নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তার মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
শিগগির আরও বেশ কিছু প্রকল্পের বিপরীতে ঋণ চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।