কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণ সুবিধা বাড়াতে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ

কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণ সুবিধা বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2016, 01:25 PM
Updated : 24 May 2016, 01:39 PM

ঋণের এই অর্থ বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ছয় বছরের রেয়াতকালসহ ৩৮ বছরে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২’ শীর্ষক একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে জন্য এ অর্থ।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তিতে ইআরডি‘র জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন ও বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে ‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২’ এ অর্থায়নের জন্য ইউএসএআইডির কাছ থেকে ৭৪ লাখ ডলার অনুদান সহায়তার আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সংস্থাটির অনুদান সহায়তা পরিচালনা করবে বিশ্ব ব্যাংক। তাই এ অনুদান সহায়তায় বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থাৎ দুটি চুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে চলমান এ কর্মসূচিটির জন্য মোট ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ক এই কর্মসূচিতে আরও দুই কোটি ৩৮ লাখ ডলার জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) থেকে অনুদান পাওয়ার কথা রয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইআরডি সচিব বলেন, “আমাদের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমেই সম্ভব হচ্ছে।

“এ খাতটির আরও উন্নয়নের জন্য কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ এবং পণ্য সরবরাহ ও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও মহিলা কৃষকের উৎপাদন ও আয় বর্ধনের জন্য সরকার এ কর্মসূচি গ্রহণ করে। এতে অর্থায়নের জন্যই বিশ্ব ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।”

এই ঋণের অর্থে কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণ সুবিধা বাড়ানো হলে ১০ লাখ কৃষক উপকৃত হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সাফল্যের মূলে রয়েছে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”

বাংলাদেশের চল্লিশ ভাগ মানুষ এখনও কৃষি খাতের সঙ্গে জড়িত মন্তব্য এ খাতের উন্নয়ন হলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন চিমিয়াও ফান।