রিজার্ভ চুরিতে জড়িতদের ধরতে সরকার বদ্ধপরিকর: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে দেশি-বিদেশি যারা জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2016, 01:20 PM
Updated : 2 May 2016, 03:38 PM

সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিল উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বর্তমানে জার্মানি সফরে রয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে ভুয়া নির্দেশনা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে পাঠানো হয়।

শ্রীলঙ্কায় যাওয়া অর্থ আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্টে যাওয়া অর্থ ক্যাসিনোর জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয় বলে স্থানীয় পত্রিকাগুলি খবর প্রকাশ করে। তা নিয়ে শুনানি করেছে ফিলিপিন্সের পার্লামেন্ট। বলা হচ্ছে, হ্যাকাররা এই অর্থ চুরিতে জড়িত।

এই ঘটনায় বাংলাদেশে করা মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে।  

সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলংকায় পাঠানো অর্থের প্রায় পুরোটাই (১৯ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, নিউ ইয়র্কে জমা হয়েছে।

ফিলিপিন্সে যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে যোগাযোগ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অভিযুক্তদের নিকট হতে এখন পর্যন্ত ৯ দশমিক ৮২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপাইনের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এএমএলসি) নিকট জমা প্রদান করা হয়েছে। ওই অর্থ বাংলাদেশকে ফেরত দেওয়ার প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রমের জন্য ফিলিপাইনের সিনেটের ব্লু রিবন কমিটি ও এএমএলসিকে নির্দেশনা প্রদান করেছে।”

এ কে এম শাহজাহান কামালের আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্পর্শকাতর বলে ফরাসউদ্দিন কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

“তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তা বিশ্লেষণ করে এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৪৬০ টাকা (১৬৮.২৯ ডলার) বলে অর্থমন্ত্রী মুহিত সংসদে জানান।

জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্নার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতির পরিমাণ ২ লাখ ১২ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা (২৬৫৭৩ মার্কিন ডলার)। এর মধ্যে ‍পাবলিক সেক্টরের মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি স্থিতি ১ লাখ ৯১ হাজার ২০৮ কোটি (২৩৯০১ মার্কিন ডলার) এবং সরকারি গ্যারান্টেড ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা (২৬৭২ মার্কিন ডলার)।