বাজেটেই চরবাসীদের বরাদ্দ খরচের নির্দেশনা দাবি

চরাঞ্চলের মানুষদের জন্য বাজেটে যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তা খরচে বাজেটেই একটি দিকনির্দেশনা রাখার দাবি উঠেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2016, 06:08 PM
Updated : 28 April 2016, 06:39 PM

গত দুটি বাজেটে চরবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ কোটি টাকা খরচ না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি তোলেন।

‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের’ সহযোগিতায় গবেষণা সংগঠন উন্নয়ন সমন্বয় ‘চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন কেন জরুরি’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে।

সভার শুরুতে উন্নয়ন সমন্বয়ের কো-অর্ডিনেটর জাহিদ রহমান জানান, বাংলাদেশ প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ঝুঁকির মধ্যে চরে বাস করছে। গত দুই বছরে চরের মানুষের জন্য বাজেটে ৫০ কোটি করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা খরচ হয়নি।

বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও তা খরচ করতে না পারাকে লজ্জার বলে সভায় মন্তব্য করেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।

এনজিওর সমালোচনা করে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, “এনজিওগুলোরও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তারা বলতে পারবে না ১০টি গ্রামের দারিদ্র্য কমিয়ে এনে মডেল সৃষ্টি করেছে। তাদের এমন কোনো উদাহরণ নেই।

“সমন্বিত কর্মসূচি নিয়ে চরবাসীদের মান উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কাজ করতে হবে। মানুষের আয় বৃদ্ধি হলে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি হবে।”

চরবাসীদের জন্য বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার উপরও গুরুত্বারোপ করেন রাজ্জাক।

সভায় সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, “এবারের বাজেটের মূল কাজ শেষ হয়ে তা ছাপার কাজ চলছে। অর্থমন্ত্রী সদয় হলে দুয়েকটি ইনসার্ট হতে পারে।

“থোক বরাদ্দ বাস্তবায়নকারী সংস্থা না পাওয়ায় (চরবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত) টাকা খরচ করা যায়নি। ফলে এর সুফল থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন।”

চরবাসীদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ দিয়ে তা বাস্তবায়নেও বাজেটে ‘ইংগিত’ রাখার দাবি জানান এই এমপি।

কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, “সমস্যা যেহেতু চিহ্নিত হয়েছে তা সমাধান হবেই। কারণ চরের মানুষ সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন না।”

চরের মানুষের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও আরও সমন্বয়ের তাগিদ দেন তিনি।

চরবাসীদের জন্য বাজেটে যে বরাদ্দ থাকে তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খরচের আহ্বান জানান ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদ।

গত দুটি বাজেটে চরবাসীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হলেও কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে তা উল্লেখ ছিল না বলেও জানান এই ব্যাংকার।

“সব স্তরে একটি করে সমবায় সমিতি স্থাপন করে প্রকল্প নিয়ে অর্থ খরচ করা যেতে পারে।”

ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দিন, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের কর্মসূচি প্রধান (চর ও হাওর) জাকির আহমেদ খানও সভায় বক্তব্য দেন।