ভ্যাট ১৫%ই থাকছে: অর্থমন্ত্রী

ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পর্যায় থেকে কমানোর দাবি জানানো হলেও আপাতত ভ্যাট ১৫ শতাংশই রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2016, 04:30 PM
Updated : 28 April 2016, 06:45 PM

বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির সভায় তিনি এই কথা জানান।

একই পণ্যে একাধিকবার ভ্যাট এড়াতে ব্যবসার হিসাব রেখে ভ্যালু এডিশনের উপর ভ্যাট দেওয়ার পরামর্শও দেন মন্ত্রী।

মুহিত বলেন, “এটা নতুন কর। নতুন কর হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে এটার বিবর্তনও অনেক হচ্ছে। আমাদের ইচ্ছা হল, ডিফারেন্সিয়াল ভ্যাট হতে পারে, আপত্তি নাই।

“তবে আমার নিজের প্রেফারেন্সটা হল, ওই ১৫ শতাংশ রাখি, কিছুদিন রাখি, যাতে তারপরে উই ক্যান গ্রেইড আওয়ার প্রোডাক্টস। বিভিন্ন দেশে একের বেশি গ্রেড আছে। বৃটেনে যখন শুরু হলো তখন এটা প্রায় সাড়ে সাত শতাংশ ছিলো, আমি দেখেছি। এখন তো ২০ শতাংশ, ৩ শতাংশ, ২ শতাংশ, ১ শতাংশ সবই আছে। আমাদেরও সেই রকম হবে।”

“কিন্তু এইবারে আমরা ১৫ শতাংশই রাখছি। এখানে যে জিনিসটা আমি বলেছি, আবার বলছি, আপনি যদি আপনার হিসাব রাখেন, তাহলে ইউ আর নট বদার্ড বাই ভ্যাট। বিকজ প্রত্যেক স্টেজে আপনি ভ্যালু অ্যাড করছেন।”

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “ধরেন, পোশাক। এটা শেষ মুহূর্তে সেলাই হয়ে বাক্সবন্দি হয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তার আগে তার ফেব্রিক এক জায়গা উৎপাদিত হচ্ছে। তার সুতা হয়ত আরেক জায়গা উৎপাদিত হচ্ছে। কটন অন্য দেশে হচ্ছে।

“আপনি যদি হিসাবটা রাখতে পারেন, আপনি কটন কিনলেন এত দিয়ে। সুতা বানালেন এত লাগলো। তাহলে আপনি যে ভ্যালু এডিশন করলেন, সেখানেই ট্যাক্স হবে। ইট ইজ নট অ্যা লাস্ট প্রোডাক্ট। ইট ইজ অনলি পার্ট অব অ্যা ফাইনাল প্রোডাক্ট। তারপর নেক্সট স্টেজে রাখলেন, হিসাব রাখলেন।”

“গার্মেন্টসে যাদের ইন্টিগ্রেটেড ইউনিট আছে, তার এত হিসাব রাখার দরকার হয় না। তার তো সমস্তটার হিসাব রাখতেই হয়। হিসাব রাখার অভ্যাস করা দরকার। এটা পছন্দ করি না, কিন্তু এটা পছন্দ করলে আপনার যেমন লাভ, দেশেরও লাভ। যার জন্য আপনি পণ্য উৎপাদন করছে, তারও লাভ। সে তখন বোঝে। এটা সবার জন্য ভালো।”

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআই এ সভার আয়োজনে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ পোশাক শিল্পের রপ্তানির উপর কর হার আগের মতো ১০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান।

তিনি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান বিশেষত সিরামিকস টাইলস,এলপিজি বোতল তৈরির প্ল্যান্ট স্থাপন, ডায়মন্ড কাটিং ও হোটেল রিসোর্টসহ পর্যটন শিল্পের অবকাঠামো নির্মাণে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেন।

গত তিন বছরের মূল্যস্ফীতি এবং বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় এনে এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের কর অব্যাহতির সীমা ৩৬ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

‘ব্যবসায়ীরা আনন্দে ব্যবসা করতে পারবে নাকি চ্যালেঞ্জটা বেড়ে যাবে’- এমন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমার ইচ্ছা হল একটা বাজেট দেব, যেটাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার থাকবে। এটা হাই করতে আমাকে অভ্যন্তরীণ উচ্চ চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে।”