বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারাগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৭তম সভায় তিনি বলেন, “শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে যে বলি, ভালো ধরনের বরাদ্দ দিতে চাই, এবারে সেটার কিছুটা হয়তো মুখরক্ষা করতে পারবো। এখন পর্যন্ত পরিবহণ ও জ্বালানি সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছেন। আপনারা জানেন, কেন পরিবহণ এবং জ্বালানি পাচ্ছে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্য ২০১৮ সাল নাগাদ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
“এই দুই সেক্টরেই ওয়াজ হেভিলি স্টার্টেড। এখন এনার্জি সম্পর্কে বলা যায়, আনসার্টেনিটি যেটা সম্পর্কে আপনারা অভিযোগ করেছেন, হুইচ ইজ মেইনলি ফর ট্রান্সমিশন, নো আদার্স। এটা আমার মনে হচ্ছে, উই শুড ওভারকাম দিস ডিফিকাল্টি বাই ২০১৮, দেয়ার শুড বি মোর অর লেস গ্যারান্টি অব স্টেডি পাওয়ার সাপ্লাই। ২০১৮ এর পরবর্তী যেসব প্রোগ্রাম আর অলরেডি আন্ডারটেকেন।
“একবার সেখানে পৌঁছে গেলে কিসের নিউ ইয়র্ক, যারা স্টেডিলি সাপ্লাই দিতে না পারলে জরিমানা করে। আমার স্বপ্ন হলো, একদিন বাংলাদেশ সেই স্টেজে পৌঁছবে। আমি মোটামুটিভাবে সার্টেন ২০১৮ সালে আনডিসটার্বড পাওয়ার সাপ্লাই হবে। কারণ বিদ্যুৎ ছাড়া উন্নয়নের কোনো পথ নেই। এনার্জি ইজ অনেস্টলি ক্যাপাসিটি টু ওয়ার্ক।”
“১৯৮২ সালে এ আলোচনা শুরুর সময় মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন এটি বড় ধরনের পরিবর্তন। প্রতিবছরই কয়েকটি আলোচনা করি এবং আজ এটি শেষ আলোচনা।”
প্রতিবারের মতো এবার বাজেট ঘোষণার আগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
গত ৭ এপ্রিল মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী ২ জুন জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট দিতে যাচ্ছেন তিনি। এর আকার হতে পারে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। পরবর্তী বছরে টাকার অঙ্ক বাড়ছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকায় নেমে আসে।
বাংলাদেশে অর্থবছর শুরু হয় পহেলা জুলাই। সাধারণত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেন।
সেই ধারাবাহিকতায় ২ জুন বৃহস্পতিবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করবেন। তার ওপর আলোচনার পর ৩০ জুন তা পাস হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি হবে মুহিতের অষ্টম বাজেট। এর আগে এরশাদ সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরের বাজেট দিয়েছিলেন তিনি। তা ধরে এবার ১০ম বাজেট দিতে যাচ্ছেন মুহিত।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২ বার বাজেট দিয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।