রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক করার দাবি ইএবির

আসছে বাজেটে রপ্তানি পণ্যে উৎসে কর অর্ধেকে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইএবি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2016, 03:24 PM
Updated : 24 April 2016, 03:24 PM

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের প্রস্তুতির মধ্যে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো ‘এক প্রস্তাবনায়’ উৎসে কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর স্বাক্ষরে রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ১২টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয় এই প্রস্তাবনায়।

উৎসে কর সংক্রান্ত সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় বলা হয়, “বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে রপ্তানিমুখী শিল্পের আমদানি মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়াও ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ৫ বছরে দুই দফায় শ্রমিকদের মজুরি ২১৯ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় ১২ শতাংশ বেড়েছে।

“এসব কারণে চাপের মুখে থাকা পোশাকশিল্পের জন্য উৎস করে এমন ছাড় প্রয়োজন।”

বস্ত্রখাতে স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে পাঁচ লাখ টাকার এলসির ক্ষেত্রে তিন শতাংশ উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে ইএবি।

২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেটে লোকাল এলসির মাধ্যমে ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের সংগৃহীত পণ্যের বিল পরিশোধের সময় ৩ শতাংশ উৎসে কর কাটার বিধান করা হয়।

উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবির পক্ষে যুক্তিতে বলা হয়, স্পিনিং, উইভিং ও ডায়িং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিলগুলোকে সাময়িক প্রয়োজনে অনেক সময় স্থানীয়ভাবে লোকাল এলসির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কাঁচাতুলা, সুতা, পলিয়েস্টার ও ভিসকস স্ট্যাপল ফাইবার, ডাইস কেমিকেলস ও যন্ত্রাংশ কিনে থাকে, যার এলসি ভ্যালু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৫ লাখ টাকার বেশি হয়।

“তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ উৎসে কর কর্তন করার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ মিলগুলিকে পরিশোধ করতে হয়। এর ফলে পর্যায়ক্রমে মিলগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সংকুচিত হতে থাকে, যা পরবর্তীতে মিলগুলোর আর্থিক কাঠামোকে দুর্বল করে ফেলে।”

রপ্তানিমুখী শিল্পের সুরক্ষায় আগামী তিন বছর ইউরো জোনভুক্ত দেশে পোশাক রপ্তানির জন্য এফওবি মূল্যের উপর ২ শতাংশ হারে এবং নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানির জন্য এফওবি মূল্যের উপর ৫ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ইএবি।