তারা বলছেন, এতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। মূল্যস্ফীতি কমবে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমবে। দেশি বিনিয়োগের পাশপাশি বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে।
ডিজেলের দাম আরও কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার বিকেলে ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে তিন টাকা, অকটেন ১০ টাকা, পেট্রোল ১০ টাকা ও কেরোসিন তিন টাকা কমানো হয়েছে।
মধ্যরাত থেকে এই নতুন দর কার্যকর হবে।
এর আগে ৩১ মার্চ ফার্নেস অয়েলের দাম লিটার প্রতি ১৮ টাকা কমানো হয়।
“এরফলে সব ধরনের পণ্যের উৎপাদন খরচ কমবে। কমবে পরিবহন খরচ। ডিজেলের দাম কমানোয় আগের চেয়ে পরিবহন খরচ ৫ শতাংশের মতো কমবে। দেশি-বিদেশি উভয় বিনিয়োগ বাড়বে। বাড়বে কর্মসংস্থান।”
‘তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সব খাতের সংশ্লিষ্টতা আছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি কমবে। কমবে ব্যাংক ঋণের সুদের হার।”
উদাহরণ দিয়ে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, “সরকারের বিশাল বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। এই সেতুর জন্য নানা ধরনের সরঞ্জাম প্রয়োজন হচ্ছে। সেগুলো পরিবহনের জন্য বড় অংকের অর্থ খরচ হচ্ছে। তেলের দাম কমানোয় পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচও কিছুটা কমবে।”
ডিজেলের দাম আরও কমানোর দাবি জানিয়ে মাতলুব বলেন, “শুধু তেলের দাম কমালে হবে না। তার প্রভাব পড়ছে কিনা অর্থাৎ দাম কমানোর সুফল মানুষ পাচ্ছে কীনা সেটাও দেখতে হবে।
“এক্ষেত্রে আমাদেরও অর্থাৎ ব্যবসায়ী নেতাদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। ডিজেলের দাম আরেকটু কমালে আমরা তদারকি করতে পারতাম- পরিবহন মালিকরা তুলনামূলকভাবে পরিবহন খরচ কমাচ্ছে কিনা।”
“তাতে বলেছিলাম জ্বালানি তেলের দাম গড়ে ১০ শতাংশ কমানো হলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দশমিক ৩ শতাংশ বাড়বে। আর তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়বে দশমিক ৪ শতাংশ। ভোক্তা চাহিদা বাড়বে দশমিক ৬ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি কমবে দশমিক ২ শতাংশ। তবে সরকারের সঞ্চয় কমবে দশমিক ৪ শতাংশ।
“সরকার গড়ে তেলের দাম ১০ শতাংশের মতোই কমিয়েছে। এখন দেখতে হবে প্রতিফলন হচ্ছে কী? আর সরকারকেই এটা দেখভাল করতে হবে।
“পরিবহন খরচ কমছে কিনা। দেশের মানুষ তেলের দাম কমানোর সুফল পাচ্ছে কিনা- তা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।”
তেলের দাম কমানোয় সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বেরসকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “তবে এটাও দেখতে চাই, তার প্রভাব সবক্ষেত্রেই পড়ছে।”