ডিজেল-কেরোসিনের দাম ৩ টাকা, অকটেন-পেট্রোল ১০ টাকা কমেছে

ফার্নেস অয়েলের দাম কমানোর ২৩ দিন পর অন্য সব জ্বালানি তেলের দামও কমিয়েছে সরকার।

রিয়াজুল বাশারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2016, 11:21 AM
Updated : 24 April 2016, 11:21 AM

ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে তিন টাকা, অকটেন ১০ টাকা, পেট্রোল ১০ টাকা ও কেরোসিন তিন টাকা কমানো হয়েছে। অর্থাৎ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমেছে।

রোববার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে দর পুনর্নির্ধারণ করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, রোববার মধ্যরাত থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের সময় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এরপর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতনে সব মহল থেকে দাবি উঠলেও বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছিল না। সেজন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এতদিনের ভর্তুকির লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার যুক্তি দেখানো হয়।

এরপর গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। সেই সিদ্ধান্তের পর ৪ এপ্রিল জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অন্য সব জ্বালানি তেলের দামও ১০ দিনের মধ্যে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হল ১৯ দিন পর।

জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে পরিবহন ভাড়াও সেই হারে কমানো হবে বলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

বাংলাদেশে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও যানবাহন বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক বছর ধরে ৫০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি জ্বালানি তেলের চাহিদা তৈরি হয়েছে; যার মধ্যে প্রায় সবই আমদানি করতে হয়।

বাংলাদেশকে এখন পেট্রোল আমদানি করতে হয় না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলছেন, সরকার অকটেনও আর আমদানি করতে চায় না।