পরিকল্পনামন্ত্রীর ক্ষমতা দ্বিগুণ

প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনামন্ত্রীর ক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়ায় ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের প্রকল্পগুলো অনুমোদন দিতে পারবেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2016, 01:53 PM
Updated : 5 April 2016, 01:53 PM

এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী সর্বোচ্চ ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারতেন।

এই ক্ষমতা দ্বিগুণের প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি নীতিমালা মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরে এনএসিতে এই সভার সিদ্ধান্ত মুস্তফা কামালই সংবাদ সম্মেলনে জানান।

তিনি বলেন, “একনেক সভার উপর চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে সরকার এ নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছে।

“ছোট ছোট প্রকল্পগুলোও একনেক উপস্থাপন করা হলে প্রকল্প সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। একনেক সভা থেকে প্রকল্প সংখ্যা কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই এ নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

এই নীতিমালা অনুসারে প্রকল্প ব্যয় ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

এ ছাড়াও নতুন নীতিমালায় চলমান প্রকল্পের ব্যয় প্রয়োজনে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ক্ষমতাও পাচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তা ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছিল আগে।

নীতিমালা অনুসারে পরিকল্পনামন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো মন্ত্রী বিনিয়োগ প্রকল্প অনুমোদন করতে পারবেন না। তবে ১০ কোটি টাকা পর্য়ন্ত ব্যয়ের কারিগরি সহায়তা (টিএ) প্রকল্প অনুমোদন করতে পারবেন। তা ৭ কোটি টাকা পর্যন্ত ছিল।

১০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে অথবা প্রকল্পে সরকারি অর্থের পরিমাণ ২০ শতাংশের মধ্যে সীমিত থাকলে পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন করতে পারবেন।

নতুন নীতিমালায় জরিপ বা সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পেও পরিকল্পনামন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। নতুন নিয়মে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের অনুমোদন দিতে পারবেন। বর্তমানে তা ২ কোটি টাকা।

২৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের সব প্রকল্পই সম্ভাব্যতা যাচাই বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। 

প্রকল্প প্রস্তাবনা বাংলা ভাষায় করা, প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু থেকে অনুমোদন পর্যন্ত সময়সীমা কমিয়ে আনা এবং সব মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইংকে শক্তিশালী করার বিষয়টিও নীতিমালায় রয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, পরিকল্পনা কমিশনে কোনো প্রকল্প পাঠানোর পর তা নিয়ে কাজ ৮৭ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এই দিনের সীমা আগে ছিল ১০০ কার্যদিবস।

কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের ক্ষেত্রে নিষ্পত্তির সময়সীমা ৪৫ কর্মদিবসের পরিবর্তে ৩২ দিন করা হয়েছে।