রোববার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, ৪৯টি জেলার দুই লাখ ৩১ হাজার ৩৬৩ জন চাষী একবিঘা জমির জন্য এই প্রণোদনা পাবে। এজন্য মোট ৩৩ কোটি ৬২ হাজার ২৩৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে দুই লাখ একহাজার ৩৬৩ জনকে উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাতের আউশ এবং ৩০ হাজার জনকে নেরিকা জাতের আউশ চাষের জন্য এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, যা রোববার থেকেই ছাড় করা শুরু হচ্ছে।
প্রণোদনার আওতায় উফশী আউশ চাষী প্রতি কৃষক একবিঘার জমির জন্য ৫ কেজি ধানবীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং সেচ বাবদ চারশ টাকা করেন পাবেন।
আর নেরিকা আউশ চাষী পাবেন ১০ কেজি ধানবীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং সেচ ও আগাছা দমন বাবদ চারশ করে মোট আটশ টাকা দেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সেচের সুব্যবস্থা নেই আউশনির্ভর এমন জেলাসমূহে এই ধানটির বিভিন্ন জাত জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
“এর জন্য আলাদা বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না, মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকেই সংস্থান হবে।”
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি থানায় ইউনিয়নের কৃষকদের কমিটি আছে ও তাদের কার্ডও রয়েছে।
এবারই প্রথম বিকাশের মাধ্যমে কার্ডধারী ওই সব কৃষকের কাছে প্রণোদনার টাকা পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
গত বছর আউশ মৌসুমে দুই লাখ ১০ হাজার কৃষককে ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রণোদনা দিয়েছিল সরকার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন আব্দুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।