বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ‘বে ইকোনমিক জোন’ কর্তৃপক্ষের কাছে এ সংক্রান্ত ‘লাইসেন্স’ হস্তান্তর করেন।
কোনাবাড়িতে নিজস্ব ৬৫ একর জমির ওপর চামড়া ও কৃষিপণ্য উৎপাদনে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলবে দেশীয় জুতা উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘বে গ্রুপ’।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্টেলা ও জাওজিয়ার সঙ্গে সেখানে জুতা কারখানা স্থাপনে চুক্তি হয়েছে। আরও কিছু বিদেশি কোম্পানি জুতা কারখানা স্থাপনে আলোচনা চালাচ্ছে।
নতুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বাড়বে বলে অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন বে গ্রুপের কর্মকর্তারা।
সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে ২০১০ সালে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন করা হয়। এর আওতায় আগামী ১৫ বছরে দেশে একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং প্রতিবছর ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে চায় সরকার।
অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন ক্ষেত্র করে দিতে প্রস্তুত। সেজন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।
“ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জে ১৩৯ একর জমির ওপর ইকোনমিক জোন করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৩ বছরের মধ্যে সিরাজগঞ্জে প্রাইভেট ইকোনমিক জোন বাস্তবায়িত হবে। সেখানে পোশাকসহ আরও কিছু শিল্পের কারখানা গড়ে ওঠবে।”