৮ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

‘মোবারকপুর তেল/গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন’ প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনীসহ মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক, যেগুলোর মোট ব্যয় ২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2016, 11:41 AM
Updated : 9 Feb 2016, 11:41 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকে এই প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হয় বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

এসব প্রকল্পে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা জোগান দেওয়া হবে। প্রকল্প সহায়তা থেকে আসবে ১ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা।

মন্ত্রী জানান, ‘মোবারকপুর তেল/গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন’ প্রকল্পটি শুরু হয় ২০০৬ সালে। তখন প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

২০০৮ সালে দ্বিমাত্রিক জরিপের তথ্য-উপাত্ত থেকে বাপেক্স সেখানে গ্যাসের অস্তিত্বের ব্যাপারে আশাবাদী হয়। কিন্তু পরে এই প্রকল্পটির কাজের কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

এরপর ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৮৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা অর্থায়নে প্রকল্পটি আবার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এরপর বাপেক্স কারিগরি কারণ দেখিয়ে মোবারকপুর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে সাঁথিয়া উপজেলার পাগলাদহ, চন্ডিপুর ও বিষ্ণুবাড়ীয়া মৌজায় প্রায় নয় একর জমি ২০১০ সালে দুই বছরের জন্য ইজারা নিয়ে নতুন করে সেখানে প্রকল্পটি স্থানান্তর করে।

অবকাঠামো নির্মাণের পর প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গেলেও ‘রিগ’ না পাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ কূপ খনন শুরু করা যায়নি।

এরপর ২০১৪ সালে রিগ বসানোর মাধ্যমে কূপ খননের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৮ ইঞ্চি হোল সেকশনে খননকালে ৪ হাজার ১৭৫ মিটার গভীরতায় হঠাৎ করে ড্রিল পাইপ আটকে যায়। অনেক চেষ্টার পরও সেই পাইপের পুরোপুরি উঠিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

মন্ত্রী বলেন, “এর মধ্যে ৩ হাজার ৬২০ মিটার উঠিয়ে আনা গেলেও ৫৫৫ মিটার এখনও মাটির নিচে রয়ে গেছে। এই অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় কূপ খনন করতে হলে বিকল্প উপায়ে যেতে সাইড ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে ৪৭০০ মিটার গভীর কূপ খনন করতে চায় পেট্রোবাংলা।”

কিন্তু মূল প্রকল্পের প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) সাইড ড্রিলিং সংক্রান্ত কোনো উপাদান ছিল না। ইতোমধ্যে প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীর মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।

“তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পের ব্যয় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা কমিয়ে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা করা হয়েছে,” বলেন মুস্তফা কামাল।

বৈঠকে অনুমাদন পাওয়া অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাচঁপীর বাজার-চিলমারী উপজেলা সদর দপ্তরের সাথে সংযোগকারী  সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে। এর ব্যয় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

জাতীয় প্রাণী সম্পদ ও পোল্ট্রি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট এবং রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্প, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় আন্তঃজেলা সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ প্রকল্প, ভোলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে।