মূল্যস্ফীতি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে একনেক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন তুলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
“দেশে খাদ্য পণ্যের দাম না বাড়ার কারণেই মূল্যস্ফীতি কমেছে। জানুয়ারি মাসে বাড়িভাড়া না বাড়লে মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা কমে আসত।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, জুলাইতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।এখন কমে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ হয়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২০ শতাংশের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
জানুয়ারিতে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আর খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ ছিল ।
গত মাসে গ্রামীণ অঞ্চলে সাধারণ মুল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ, ডিসেম্বরে যা ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
শহরাঞ্চলের সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ।