এআইআইবি’র শেয়ার পরিশোধে সংসদে বিল

চীনের নেতৃত্বে গঠিত এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকে (এআইআইবি) বাংলাদেশের নির্ধারিত শেয়ারের মূল্য পরিশোধে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2016, 02:41 PM
Updated : 8 Feb 2016, 02:44 PM

সোমবার ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বিল-২০১৬’ সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিলটি পরীক্ষা করে সাতদিনে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

এআইআইবি’র শেয়ারমূল্য বাবদ ৬৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে তোলা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ব্যাংকটির উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রধানত অবকাঠামো এবং অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এশিয়ার টেকসই উন্নয়ন, সম্পদ সৃষ্টি ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে উৎসাহিত করা এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কাজ করে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।”

গত ১৬ জানুয়ারি বেইজিংয়ে জমকালো এক অনুষ্ঠানে চীনের নেতৃত্বে নতুন আন্তর্জাতিক ব্যাংক এআইআইবি’র উদ্বোধন করা হয়। অর্থমন্ত্রী মুহিতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

এআইআইবি’র মূলধন ধরা হয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ২০ বিলিয়ন ডলার।

সদস্য হতে বাংলাদেশকে দিতে হবে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন হিসেবে ১৩ কোটি ২১ লাখ ডলার এবং ৫২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে অপরিশোধিত (কলেবল) মূলধন হিসেবে। 

বেইজিংয়ে সংস্থার সদর দপ্তরে ওই অনুষ্ঠানে চীনের জিন লিকুনকে প্রেসিডেন্ট এবং ১২ জনকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “ব্যাংকে বাংলাদেশের মোট শেয়ার ৬ হাজার ৬০৫টি (প্রতিটি এক লাখ মার্কিন ডলারের) এবং চাঁদার পরিমাণ ৬৬০ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; যার ২০ শতাংশ পেইড-ইন হিসাবে বাংলাদেশের প্রদেয় চাঁদার পরিমাণ ১৩২ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (এক হাজার ৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা)। যা ১০ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য।”

তিনি জানান, প্রতি কিস্তিতে বাংলাদেশকে প্রায় ১০৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

মুহিত বলেন, ব্যংকের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেশ কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে নতুন আইন করা হচ্ছে।