রোববার ‘গ্রিন ব্যাংকিং’ নিয়ে এক আলোচনা সভায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসির কাছে এ প্রস্তাব দেন তিনি।
“আমাদের বিদ্যুতের দাম কিন্তু কমানো হয়নি। এখানে যে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে তার একটা অংশ নিয়ে একটি তহবিল গঠন করা যায়। ওই তহবিল থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ভর্তুকি দিতে পারে।”
এই ভর্তুকির অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে ধারণা দিয়ে গভর্নর বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনকারী কোনো কোম্পানি যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়।ওই ঋণের সুদের ৫০ ভাগ যদি তহবিল থেকে ভর্তুকি হিসেবে পায় তাহলে ওই কোম্পানি উৎসাহিত হবে। এতে ব্যাংকেরও সমস্যা হবে না।”
‘বাজেটকে সবুজায়ন করার’ ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে এখনো যেখানে বাড়তি কর আছে তা আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে হবে।”
জ্বালানিসাশ্রয়ী এলইডি লাইট ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মাসে দুলাখ টাকার বেশি সাশ্রয় করছে বলে জানান গভর্নর।
“সন্ধ্যা বেলা প্রয়োজনীয় সকল লাইট সোলার থেকে ব্যবহার করি।এখন আমরা উদ্যোগ নিয়েছি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরো ভবনটা গ্রিন এনার্জি হবে।
“আমরা টার্গেট করেছি, জ্বালানি চাহিদার পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ব্যবহার করতে। এটা জার্মানির তুলনায় অনেক কম। জার্মানরা এরই মধ্যে চাহিদার ২৬ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে।”
মিরপুরের বিআইবিএম মিলনায়তনে ‘গ্রিন ব্যাংকিং ফর এনার্জি সাসটেইনেবল ইকোনমি’ শীর্ষক এ সেমিনারে বিশেষ অথিতি ছিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিঞ্জ।
তিনি বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে জার্মানির যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। এ বিষয়ে মূল চ্যালেঞ্জ অর্থায়ন নিয়ে সরকারকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতসহ সকল পক্ষের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে।”
সভাপতির বক্তব্যে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার বলেন, “আমাদের ৬৫ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে গ্যাস থেকে। গ্যাসের রিজার্ভ শেষ হয়ে গেলে কি হবে তা নিয়ে চিন্তা নেই।
“সে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, এখন থেকেই আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।”