বুধবার মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট ফ্রেড হচবার্গের সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারণায় তহবিল সংগ্রহে কাজ করা ব্যবসায়ী হচবার্গ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
বৈঠকের পর হচবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।”
পরে সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, তিনিও সেই সুযোগ দেখতে পাচ্ছেন কি না?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, “অফকোর্স, বিনিয়োগের সুযোগতো প্রচুর। কিন্তু নো বডি কামস। এটা হলো সমস্যা।”
বিনিয়োগে কোন ধরনের সুযোগ চেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সুযোগ চাওয়ার কিছু নাই। সুযোগ এক্সিস্ট। দে ডোন্ট কাম। ইফ দে কাম….. ।”
কিছুটা বিরতি নিয়ে তিনি বলেন, “আসবে। চেষ্টা করছে আসতে।”
তাদের আসার ‘চেষ্টা’ উৎসাহব্যঞ্জক কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ইট মে বি ইনকারেজিং অ্যান্ড অল দ্যাট। ডমেস্টিক প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট না হলে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট আসে না। ওয়ান শুড নো দ্যাট।”
হচবার্গ নির্দিষ্ট কোন প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নো নো, হি এনকোয়ার্ড অ্যাবাউট সেক্টরস, পাওয়ার, ট্রান্সপোর্টেশন, এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ- এই চারটার বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের দাবি নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আই কমপ্লেইন অ্যাগেইনসট দেম যে, তোমরা ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি সুবিধা আমাদের দাও নাই। যার সঙ্গে দেখা হয়, তার সঙ্গেই আমি এটা নিয়ে ঝগড়া করি। তোমার সঙ্গেও করছি। তিনি আগ্রহ দেখিয়েছেন।”
এই আলোচনার ভিত্তিতে কোনো ফল আসবে কি না জানতে চাইলে আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মুহিত বলেন, “এটার মূল্যায়ন আমি এখনই করতে পারব না। তাদের অধিকাংশই যখন এখানে আসে, মোস্ট অব দেম আর নাইস অ্যান্ড পোলাইট। কিন্তু আমরা আমাদের গোলটা পাই না।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হি (হিচবার্গ) নো হাউ দিস কান্ট্রি ইজ ডুয়িং ওয়েল। এটা একটা গুড এটিচুড। কারণ অন্যরাতো স্বীকারও করতে চায় না। অন্য সভা-সমিতিতে এটাও স্বীকার করে না যে, কান্ট্রি ইজ ডুয়িং ভেরি ওয়েল।”
মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটও উপস্থিত ছিলেন।