চাল আমদানিতে শুল্ক দ্বিগুণ হচ্ছে

১০ ভাগ শুল্ক আরোপের পরও চাল আমদানি না থামায় তা দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 11:54 AM
Updated : 24 Nov 2015, 11:54 AM

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মঙ্গলবার এক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি বলেন, “আগে চাল আমদানির ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক ছিল না। পরে আমরা ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছি। কিন্তু তারপরও চাল আসছে।

“এখন আমরা এই শুল্ক আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থমন্ত্রী মহোদয় আমাকে জানিয়েছেন, এটা ১০ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ২০ ভাগ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে।”

বর্তমান সরকারকে কৃষিবান্ধব দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার নেপালে চাল রপ্তানি করছি। নেপালে ভূমিকম্পের সময় সাহায্য হিসেবে চাল পাঠিয়েছি। এখন আফ্রিকার দেশগুলোতে চাল রপ্তানির বাজার খোঁজা হচ্ছে।”

পাটের বস্তা ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “সাময়িক অসুবিধা হলেও পাটের বস্তা ব্যবহার করতে হবে। পাট শিল্প বাঁচাতে হলে পাটকলগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে।”

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির ওই বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, “খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ বলেই আমরা আজ চাল রপ্তানি করতে পারছি। সুতরাং যে সরকার দেশের মানুষের জন্য কাজ করে দেশের জনগণের উচিৎ নিঃশর্তে সেই সরকারকে সমর্থন করা।

“কিন্তু আপন বুঝ পাগল বুঝলেও আমাদের দেশের মানুষ কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা বোঝে না।”

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়- দাবি করে আমু বলেন,“কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরে আবারও দেশ খাদ্য খাটতির দেশে পরিণত হয়।

“২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, এখন আমরা খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছি।”

সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রমুখ।