ব্যাংকগুলোকে মানবিক হতে হবে: গভর্নর

শুধু মুনাফার পেছনে না ছুটে মানুষ ও সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসতে ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 11:50 AM
Updated : 24 Nov 2015, 11:50 AM

মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং মেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে এ আহ্বান তিনি।

গভর্নর বলেন, “শুধু মুনাফা বাড়ানোই যেন ব্যাংকের উদ্দেশ্য না হয়। মানুষ, সমাজ ও আমাদের প্রিয় ধরিত্রীর জন্য ব্যাংকিং খাত কাজ করবে। এই মেলা মানবিক ব্যাংকিংয়ের নবচেতনা দান করবে বলে আমার বিশ্বাস।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলায় দেশি-বিদেশি ৫৬টি ব্যাংক, ছয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সাতটি আর্থিক সেবাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলো ঋণ ও আমানত স্কিমসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, “দেশের ব্যাংকিং খাত দুষ্টচক্রে আটকে পড়েছে। এতে ব্যাংক ব্যবস্থা যেমন সমস্যায় পড়ছে, রাজস্ব আহরণও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

“এই সমস্যা দূর করার জন্য আমরা (এনবিআর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে অনেক কাজ এগিয়েছে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।

ঋণের সুদহার একক সংখ্যায় (সিঙ্গেল ডিজিট) নামিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান আসলাম আলম।

তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূর করার বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে ৮ শতাংশে উন্নীত করতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। এজন্য ঋণের সুদহার একক সংখ্যায় নামিয়ে আনতে হবে।

“আমি জানি আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করে সুদ হার কমিয়ে আনতে হবে। জাতীয় স্বার্থে একাজ করতে হবে।”

কেন্দ্রীয় আয়োজনের পাশাপাশি বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরেও এই মেলা আয়োজনের আহ্বান জানান ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব।

মেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক শিক্ষা, টাকা জাদুঘর, বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস (টাকা তৈরির মেশিন), বিভিন্ন প্রকাশনা, স্মারক মুদ্রা ও নোট ক্রয়, জনসাধারণের জন্য সেবা ও অভিযোগ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

বেলা ১টা পর্যন্ত আর্থিক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুদিন, কর্মজীবি শিশুদের নিয়ে একদিন, উন্মুক্ত উপস্থিতিদের নিয়ে একদিন ও দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পূর্ণবয়স্কদের (ভালনারেবল অ্যাডাল্ট) নিয়ে আর্থিক শিক্ষা বিষয়ক কর্মসূচি পালন করা হবে।

দুপুর ২টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বির্তক প্রতিযোগিতা থাকবে।