বিদেশি নোট আমদানির অনুমোদন পেল এসসিবি

বিদেশি মুদ্রার সংকটে থাকা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে ৫০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বিভিন্ন মুদ্রার নোট আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 10:33 AM
Updated : 24 Nov 2015, 11:58 AM

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ব্যাংকটিকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আহসানউল্লাহ।

তিনি বলেন,“ব্যাংকটির আবেদন ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিদেশি মুদ্রার নোট আমদানির অনুমোদন পেল ব্যাংকটি।

এর আগে ২০১০ সালের ৪ জুলাই ব্যাংকটিকে প্রথমবার নোট আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

পর্যাপ্ত বিদেশি মুদ্রার নোট হাতে না থাকায় গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পারছে না উল্লেখ ৫০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার নোট আমদানির জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) ১ নভেম্বর বাংলাদেশে ব্যাংকের কাছে আবেদন করে।

আবেদনে ব্যাংকটি লন্ডনের ট্রাভেলেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার, আড়াই লাখ ডলারের ইউরো ও এক লাখ ডলারের পাউন্ড নোট আমদানির কথা জানায়।

এসসিবি তাদের নস্ট্রো হিসাবের মাধ্যমে এসব নোট আমদানি দায় পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বৈদেশিক মুদ্রা আইন অনুযায়ী এডি (অথরাইজড ডিলার) ব্যাংকের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বিদেশি নোট আমদানির সুযোগ রয়েছে।

এক্ষেত্রে এডি ব্যাংকগুলো নিজ দায়িত্বে নোট আমদানির পাশাপাশি অব্যবহৃত ও অতিরিক্ত নোট এবং আমদানির মূল্য প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করবে।

এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী নগদ প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার সরবরাহ করার জন্য তাদের অনুরোধ করেছে।

“এছাড়া অন্যান্য দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ নগদ বিদেশি মুদ্রা দরকার, তা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য নোট আমদানির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।”

হজ ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রচুর মুদ্রা ‘বিদেশে চলে যাওয়াকেই’ নোট সঙ্কটের কারণ হিসেবে এসসিবির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ নভেম্বর দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে দুই কোটি ৯০ লাখ ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রার নোট ছিল।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮১ লাখ ডলারের বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রার নোট ছিল সোনালী ব্যাংকের কাছে। এছাড়া জনতা ব্যাংকের কাছে ছিল ৬০ লাখ ডলার সমমূল্যের নোট।

ওইদিন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কাছে ছিল ২২ লাখ ৭০ হাজার ডলারের বিভিন্ন বিদেশি নোট।

মজুদ বাড়লেও সম্প্রতি বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ কমে যাওয়ায় খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকই নোট আমদানি করতে চেয়েছে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমদানি শুল্কসহ অন্যান্য কর প্রত্যাহার চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়। অবশ্য এনবিআর এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত দেয়নি।

এক মাসের ব্যবধানে দেশে ডলারের বিনিময় হার আড়াই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বর্তমানে প্রতি মার্কিন ডলার ৮১ টাকা থেকে ৮২ টাকা ৫০ পয়সায় পাওয়া যাচ্ছে। গত ১৫ অক্টোবরও সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় ডলার বিনিময় করেছে দেশের ব্যাংকগুলো।