দুই দেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন বসানোর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের পর ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি করপোরেশন লিমিটেডের পরিচালক (কারিগরি) এম কে চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “দুই দেশের সরকার ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকার আমাদের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ করতে বলেছে। ঐতিহাসিক বিজয় দিবস থেকেই আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করতে চাই।”
পালাটানার ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিজস্ব ১৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল ত্রিপুরা।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ভারি যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে নিতে দেওয়ার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এই প্রতিশ্রুতি দেয় ত্রিপুরা।
আসাম-আগরতলা মহাসড়কের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ভারি যন্ত্রপাতি পরিবহণ সম্ভব না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ দেরিতে শুরু হয়।
ত্রিপুরার সুরজমনি নগর থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন টানার কাজ করছে পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (পিজিসিআইএল)।
আর বাংলাদেশের ভেতরে আরও ৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ করছে কাজ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
একবছর আগে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ শিগগরিই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী (সিস্টেমস অফারেশনস) প্রণব কুমার রায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কুমিল্লা দক্ষিণের সঙ্গে ত্রিপুরার সুরজমনি উপকেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগে লাইন টানার কাজ শেষ করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। মাঠ পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষ এবং ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর লাইন চালু করা হবে।
লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের আগে এখন উভয় পক্ষই শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
তবে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির দাম কত হবে তা ২৬ নভেম্বর দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দুদিনের বৈঠকে ঠিক হবে।
ত্রিপুরার মুখ্য সচিব (বিদ্যুৎ) এস কে রাকেশ ও ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি করপোরেশন লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মহানন্দ দেববর্মা ওই বৈঠকে অংশ নেবেন।