ঢাকায় শীতকালীন করমেলায় ১৫ হাজার রিটার্ন জমা

ঢাকায় তিন দিনের শীতকালীন আয়কর মেলার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ১৫ হাজার করদাতা আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2015, 07:34 PM
Updated : 29 Nov 2015, 05:00 PM

শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনে আরও বেশি সংখ্যক করদাতা মেলায় আসবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার মোট কত টাকার কর আদায় হয়েছে, তার চূড়ান্ত হিসাব করেনি এনবিআর।

শনিবার মেলার শেষ দিনে সে তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে প্রথমবারের মতো আয়োজিত তিন দিনের শীতকালীন আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অফিসার্স ক্লাবের পাশাপাশি ঢাকার উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে কর অঞ্চল-৯ প্রাঙ্গণে এবং বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও রংপুরে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ মেলা।

তবে মেলায় ব্যাংকের কোনো বুথ না থাকায় চেক বা পে-অর্ডার জমা দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অভিযোগ করেছেন আবু সাঈদ নামের এক করদাতা।  

মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে ২০১৫-১৬ করবর্ষের আয়কর বিবরণী জমা দেওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন ই-টিআইএন নেওয়া যাচ্ছে এবং যাদের ই-টিআইএন আছে, তারা পুনর্নিবন্ধন করতে পারছেন।

২০১০ সাল থেকে সেপ্টেম্বরে মাসে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলার আয়োজন করে আসছে এনবিআর। এবছর রাজধানী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে মেলা আয়োজনের পাশাপাশি উপজেলাতেও ভ্রাম্যমাণ মেলা করে এনবিআর।

১৬ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ওই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ৭ লাখ ৫৭ হাজার করদাতা বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করেছেন। সপ্তাহব্যাপী মেলা থেকে ২ হাজার ৩৫ কোটি টাকার কর আদায় হয়।

আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর পহেলা জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে।

তবে কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন জমা না হওয়ায় প্রতিবারই এই মেয়াদ বাড়ানো হয়। এবারও দুই মাস বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমার সুযোগ রাখা হয়েছে।

যারা এখনও আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি তারা শীতকালীন মেলায় গিয়ে জমা দিতে পারবেন।

চলতি অর্থবছরে বাজেটে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আয়কর থেকে সবচেয়ে বেশি ৬৫ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে, যা মোট রাজস্ব আয়ের ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।  

এনবিআর এর হিসাবে দেশে টিআইএনধারী আছেন প্রায় ১৮ লাখ। তাদের সবাই নিয়মিত আয়কর বিবরণী জমা দেন না। ১২ লাখের মতো করদাতা আয়কর বিবরণী জমা দেন।