একদিন আগে সংসদে অর্থমন্ত্রীর একটি বক্তব্যে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
পাঁচ টাকার মুদ্রা প্রচলনের দায়িত্ব সরকারের হাতে আনতে আইন সংশোধনের সময় গত রোববার সংসদে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, “আই শুড উইথড্র অল দা ফাইভ টাকা কয়েনস।”
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “উক্ত আইনি সংশোধনী আনয়নের ফলে বর্তমানে প্রচলিত ১ এবং ২ টাকা মূল্যমানের কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রার পাশপাশি ৫ টাকা মূল্যমানের নোট এবং ধাতব মুদ্রাও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লিগ্যাল টেন্ডার হিসাবে পরিণত হবে।
“এ সংশোধনী কার্যকর হলেও বর্তমানে প্রচলিত ১, ২ এবং ৫ টাকা মূল্যমানের কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রা নতুন ৫ টাকার নোট এবং ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি চলমান থাকবে।”
এতদিন শুধু ১ ও ২ টাকা পর্যন্ত মুদ্রা সরকার বের করে আসছিল। ৫ টাকা থেকে শুরু করে উপরের সব নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এক টাকা ও দুই টাকার মতো পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়লেও তাদের সেই এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেদিন অর্থমন্ত্রী।
“বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কয়েন (৫ টাকার ধাতব মুদ্রা) বাজারে ছাড়ার ক্ষমতা নেই। তারা এক সময় এটা করেছে। তারা এটা করতে পারে না। তাদের এক টাকার কয়েন ছাড়ার ক্ষমতা রয়েছে।”
গত জানুয়ারিতে মুহিত ১ ও ২ টাকার মুদ্রা তুলে দেওয়ার কথা তুলে সমালোচনার মধ্যে পড়েছিলেন।
পরে তিনি বলেছিলেন, “যে টাকাটা আছে বাজারে, সেটা তো আছেই। জোর করে তো সেটা তুলে দেওয়া যাবে না। মানুষ ব্যবহার না করলে সেটা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।”