পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ছে

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের নিজস্ব বিনিয়োগ মূলধনের ২৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার সময়সীমা আরও দুবছর বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2015, 02:25 PM
Updated : 15 Nov 2015, 03:00 PM

রোববার বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠক চলাকালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝেংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এডিবি অর্থায়ন করেছে। বৈঠকে তিনি (ওয়েনচাই) শেয়ারবাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি বলেছি, শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতার জন্য ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ মূলধনের ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার শর্ত দুই বছর বাড়ানো হতে পারে।”

ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর সর্বশেষ সংশোধনী (২০১৩ এর সংশোধনী) অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিবেচনা করে ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করে দেয়।

ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, সাবসিডিয়ারি কোম্পানি না থাকলে কোনো ব্যাংক তার আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসের ২৫ শতাংশের বেশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে না।

এর বেশি পুঁজিবাজারে কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগ থাকলে তা ২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের নামিয়ে আনতে বলা হয়।

এখন নতুন করে দুবছর বাড়ানো হলে ব্যাংকগুলো ২০১৮ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ পাবে।

মুহিত বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে; পাশাপাশি বাস্তবায়ন সক্ষমতাও বেড়েছে।

“এ জন্য এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে বলেছি, ‘তাদের কাছ থেকে আরও বেশি পরিমাণে সহজ শর্তের ও সাধারণ ঋণের প্রয়োজন হবে।”

একই বাজেটের পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকারও অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় অর্থের চাহিদাও বেড়েছে বলে জানান তিনি।

বৈঠকের সময় চীনের নেতৃত্বে গঠিত এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

বৈঠকে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মোট নয়টি প্রকল্পের বিষয়ে এআইআইবির প্রধানকে জানা অর্থমন্ত্রী।

লিকুন তাকে জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকে সংস্থাটি অফিসের কার্যক্রম শুরু করবে। জানুয়ারিতে পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ প্রথম বোর্ড সভায় অর্থায়ন চেয়ে প্রকল্প পাঠাতে পারে।”