বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত মরিচ ক্ষেত, লোকসানে চাষী

অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এবার বগুড়ায় আগাম জাতের মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষীরা। আবাদ কমে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহও কমে গেছে। ফলে ক্রেতাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে মরিচ।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2015, 05:32 AM
Updated : 5 Oct 2015, 11:18 AM

তবে লোকসান কাটিয়ে উঠতে জেলায় আবারও মরিচের আবাদ শুরু হয়েছে বলে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চণ্ডিদাস কুণ্ডু জানিয়েছেন।

গাবতলী উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবারই তিনি আগাম জাতের মরিচের চাষ করেন।

“বিঘা প্রতি প্রায় ৮০ মন পর্যন্ত মরিচ হয়। কিন্ত এবার বেশি বৃষ্টিতে বেশিরভাগ গাছই মরে গেছে।”

ধুনট উপজেলার বেড়ের বাড়ি গ্রামের আব্দুল ওয়াব তার এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচ লাগিয়েছিলেন।

তিনি জানান, গত বছর প্রতি বিঘায় সপ্তাহে ১০ মন মরিচ উঠানো হতো। কিন্ত এবার বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সপ্তাহে মাত্র ১০ কেজির বেশি মরিচ উঠছেনা।

“এতো কম মরিচের আবাদ হওয়ায় উৎপাদন খরচই উঠবে না। প্রতিকেজি মরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি করেও লোকসান গুনতে হচ্ছে।”

কৃষ্টি কর্মকর্তা চণ্ডিদাস কুণ্ডু জানান, এবার অতি বৃষ্টিতে মরিচের ফুল নষ্ট হওয়ায় এবং পানি জমে থাকায় বেশিভাগ মরিচের ক্ষেতই নষ্ট হয়ে গেছে।

“কিছু মরিচ গাছ থাকলেও ফলন অনেক কমে গেছে। আর আগাম জাতের এসব মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে বাজারে।”

তবে চাষীরা নতুন করে মরিচ আবাদ শুরু করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আশা করি তারা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন। একই সঙ্গে নতুন মরিচ আসতে শুরু করলে বাজারে এর দামও কমে আসবে।”