মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ৪৬০ টাকা

মাথাপিছু আয়ে উন্নতির সঙ্গে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণও বেড়েছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2015, 12:51 PM
Updated : 4 Sept 2015, 03:25 PM

বর্তমানে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ১৬০ টাকা বলে বৃহস্পতিবার সংসদে জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬০ টাকা।

আবুল মাল আবদুল মুহিতের পক্ষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সংসদে প্রশ্নের জবাবে মাথাপিছু ঋণের তথ্য জানান।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের (পাবলিক সেক্টরে) স্থিতির পরিমাণ ছিল, ২৫ হাজার ৯০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তা বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা।

আর জনগণের মাথাপিছু ঋণের পরিমান ১৬৯ মার্কিন ডলার।অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১৩ হাজার ১৬০ টাকা।

গত বছরের জুনে অর্থমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ৭০০ টাকা।

২০১২-২০১৩ অর্থবছরের ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের (পাবলিক সেক্টর) স্থিতির পরিমাণ ২৪ হাজার ৯০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। টাকার অঙ্কে তা প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।

গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ২৭৪ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার ১৪৭ দশমিক ৬০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে; যা রপ্তানি আয়ের শতকরা ৮ দশমিক ৬ ভাগ এবং জিডিপির শতকরা ২ দশমিক ৯ ভাগ।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যনুযায়ী ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ২ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা  বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছে ১১টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিশ্ব ব্যাংক থেকে নেওয়া হয়েছে, যার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২ হাজার ৩৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এরপরই রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), তাদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৬১ হাজার ৮৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। জাপান থেকে নেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ কোটি টাকা। চীন থেকে ৭ হাজার ৩৫৬ কোটি ৭ লাখ টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে আইডিবি ৩ হাজার ৩৫৮ কোটি ২১ লাখ টাকা, ডেনমার্ক ৮৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা, ভারত ১ হাজার ৬৫৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, কুয়েত ১ হাজার ৭৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, দক্ষিণ কোরিয়া ২ হাজার ৭৯১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, ইফাদ ২ হাজার ৯৩৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অন্যান্য সংস্থা ও দেশ থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ এক হাজার ৪১৯ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

২০১৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পরিচালন মুনাফা অর্জনকারী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বলে সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বেসরকারি এই ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ এক হাজার ৬২১ কোটি ২১ লাখ টাকা।

পরিচালন মুনাফা অর্জনে পিছিয়ে থাকা ব্যাংকগুলো হলো- বেসিক ব্যাংক (১১০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা), কৃষি ব্যাংক (১৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক (২১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা), ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (৯৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা)।

মন্ত্রী জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।