অভিযোগে সোনালী ব্যাংক প্রথম

গ্রাহকদের অভিযোগের খাতায় সবচেয়ে এগিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক;  ব্র্যাক ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক রয়েছে এর পরেই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 04:27 PM
Updated : 31 August 2015, 04:27 PM

গত জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস বিভাগে (এফআইসিএসডি) আসা ৪৪৩টি অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযোগগুলোর মধ্যে ই-মেইল, ফ্যাক্স, ওয়েবসাইট এবং ডাকযোগে এসেছে ১৭৭টি; টেলিফোনে এসেছে ২৬৬টি।

এর মধ্যে সাধারণ ব্যাংকিং সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১৫৬টি, ঋণ ও অগ্রিম সংক্রান্ত ৮২টি, আমদানি বিল পরিশোধ না করা সংক্রান্ত অভিযোগ ৫৩টি (অভ্যন্তরীণ ৩০টি ও বৈদেশিক ২৩টি), কার্ড সংক্রান্ত ৩৪টি, মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত ২৭টি, রেমিটেন্স সংক্রান্ত ২৩টি এবং ব্যাংক গ্যারান্টি সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল ১০টি।

এর বাইরে আরও ৫৮টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে ৪৪২টিই নিষ্পত্তি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অভিযোগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ অভিযোগ ছিল সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় অবস্থানে ব্র্যাক ব্যাংক  এবং তৃতীয় অবস্থানে ছিল ডাচ-বাংলা ব্যাংক।”

তবে এ তিন ব্যাংকের কার বিরুদ্ধে কতটি অভিযোগ ছিল সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালের ১ এপ্রিল গঠন করে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র। পরে এর পরিধি বাড়তে থাকায় আরও বৃহৎ পরিসরে একে ঢেলে সাজিয়ে গঠন করা হয় এফআইসিএসডি।

ফ্যাক্স (০০৮৮-০২-৯৫৩০২৭৩), ই-মেইল, এসএমএস এবং ১৬২৩৬ নাম্বারে ডায়াল করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো অনিয়ম ও হয়রানির বিরুদ্ধে গ্রাহকরা অভিযোগ করতে পারেন।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এ সেবা চালু করা হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন।

“গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম অনেক কমে গেছে।”