এই কারণে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় বাংলাদেশের পণ্য পিছিয়ে পড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিষয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ঢাকা চেম্বারের সভাপতিসহ নেতাদের একটি অংশ বিদেশ সফরে রয়েছেন।
এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি মনে করি বর্তমান অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজার প্রেক্ষাপটে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়।
“রপ্তানিতে ১২ শতাংশের বেশি নেগেটিভ গ্রোথ হল। কেবল আমরা বড় বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার ক্ষতি কাটিয়ে দাঁড়াচ্ছি। সেসময় এই সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে।”
রাজনৈতিক অস্থিরতার ক্ষতির পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতের অপর্যাপ্ত সরবরাহ নিয়েও দীর্ঘদিনের অসন্তোষ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, “আমাদের কাছে দাম বড় বিষয় হত না যদি কোয়ালিটি গ্যাস-বিদ্যুৎ পেতাম। যে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে তা পূর্ণ প্রেসারে পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুতে লোশেডিং বাড়ছে।”
দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারাবিশ্বে যখন জ্বালানির দাম কমছে, তখন বাংলাদেশে বাড়ানো হচ্ছে। এতে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমবে। আমাদের যে পণ্য তৈরি করি, তার উৎপাদন খরচ বাড়বে।
“বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। সেটা পেলে আমাদের পরিবহন খরচ কিছুটা কমত।”
ভোগ্য পণ্যের উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্যাস বিদ্যুতের দাম যতটা বাড়বে, পণ্যের উৎপাদন খরচ ততটা বাড়বে।”