একইসঙ্গে যোগ্যতা যাচাই ও সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার শতভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “ধরা যাক কোনও প্রকল্প এলাকা কুমিল্লায় অথচ প্রকল্প পরিচালক থাকেন ঢাকায়। এমনটা প্রকল্প বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করে। প্রকল্প পরিচালককে অবশ্যই প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে। থাকার ব্যবস্থা না থাকলে আমরা তা করে দেব।”
প্রকল্প এলাকায় অবস্থান না করলে পরিচালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করবে। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রকল্প বিষয়সংক্রান্ত চাকরির অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হবে।
“একইসঙ্গে যারা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বর্তমানে নিযুক্ত আছেন, তাদের যোগ্যতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় গাইডলাইন তৈরি করা হবে।’
আগামী ১ অক্টোবর সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আইএমইডিই শুধু প্রকল্প পরিবীক্ষণ করবে না, সেইসঙ্গে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ও নিজেরা প্রকল্প পরিবীক্ষণ করবে।
প্রকল্পের অপচয় রোধে অচিরেই কার্যত অকার্যকর ১৪০ থেকে ২০০টি প্রকল্প তালিকা থেকে বাদ দিতে একনেক সভায় উত্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
“আমি পহেলা অক্টোবর সব মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে চিঠি দেব। ইতোমধ্যে আইএমইডি এ সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে। এখন আমরা মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সব ঠিক করব।
সভায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।