প্রতিটি বকনা কেনার জন্য ৪০ হাজার এবং তা লালন-পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে মোট চারটির জন্য অনধিক দুই লাখ টাকা ঋণ দিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক খামারিদের অগ্রাধিকার দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে রাষ্ট্রায়ত্ত সব বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংককে এ নির্দেশনা দিয়েছে। একইসঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, আইডিএলসি ফ্যাইন্যান্স, আনসার ভিডিপি ব্যাংক ও কর্মসংস্থান ব্যাংককেও এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে দেশি জাতের বকনা বাছুরকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দুধে স্বয়ংসসম্পূর্ণতা আনতে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি পরিচালনার নীতিমালায় এই সংযোজন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঋণ পরিশোধের বিষয়ে নীতিমালায় অনধিক তিন বছরের মধ্যে আসল এবং প্রতি বছর শেষে সুদ পরিশোধের কথা বলা হলেও এখন তা বাড়িয়ে ৫৪ মাস করা হয়েছে। এজন্য ঋণ গ্রহীতা অনধিক ১৪ মাস গ্রেস পিরিয়ড (যে সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে হয় না) পাবেন। গ্রহীতাকে ৩৬ থেকে ৫৪ মাসের (গ্রেস পিরিয়ডসহ) মধ্যে ঋণ সমন্বয় করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এ খাতে ঋণ বিতরণের সার্বিক অবস্থা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয়ে মাসিক বিবরণী পাঠাবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তাদের উপজেলা কার্যালয়ের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে নমুনা ভিত্তিতে এ তহবিলের আওতায় বিতরণ করা ঋণের সদ্ব্যবহার যাচাই করবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর উপজেলা কার্যালয় ঋণের সদ্ব্যবহারের কোনো বিচ্যুতি পেলে তা সরাসরি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক শাখাকে জানাবে। ব্যাংক শাখা ত্রুটি-বিচ্যুতি নিরসনে ব্যর্থ হলে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপজেলা কার্যালয় তাদের অধিদপ্তরকে জানাবে।
পরবর্তীতে অধিদপ্তর বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।