রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির অষ্টাদশ বৈঠকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বিল-২০১৫ এর প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
ওই দিন ২ সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য খসড়া আইনটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটি পরে সংসদের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেয়।
বিলটি পরীক্ষা করতে একটি উপ-কমিটি গঠন সংসদীয় কমিটি। ওই উপ-কমিটি দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, ফিলিপিন্সের এ সংক্রান্ত আইন পর্যালেচনা করতে দেশগুলো সফর করে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, “বিলটিতে কিছু আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিয়ন্ড দ্য কেবিনেট প্রধানমন্ত্রীকে এখানে বোর্ড অব গভর্নরস এর চেয়ারপারসন করা হয়েছে।”
আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে উন্নয়নের ‘মূল বাধা’ হিসেবে দায়ী করে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, “জটিলতা কমাতেই এটি করা হয়েছে।”
সংসদে উত্থাপিত বিলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের বিধান প্রস্তাব করা হয়। কমিটি উপদেষ্টা পরিষদের স্থানে বোর্ড অব গভর্নরসের বিধান রাখার সুপারিশ করেছে।
সুরঞ্জিত বলেন, “সংসদের আগামী অধিবেশনে রিপোর্ট পেশ করা হবে। আশা করি, ওই অধিবেশনেই বিলটি পাস হবে।”
বিলটি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কমিটির পর্যালোচনার পর বিলটি ‘আধুনিক’, ‘টেকসই’, ‘বিশ্বমানের’ হয়েছে বলে দাবি করেন সুরঞ্জিত।
কমিটি সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাহারা খাতুন, মো. শামসুল হক টুকু, তালুকদার মো. ইউনুস, জিয়াউল হক মৃধা ও সফুরা বেগম অংশ নেন।
এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।