আরও দুটি এলএনজি টার্মিনালের পরিকল্পনা

বাংলাদেশের প্রাথমিক জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি বাড়াতে কক্সবাজারের মহেশখালীর পর চট্টগ্রাম ও খুলনায় আরও দুটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2015, 12:21 PM
Updated : 23 August 2015, 01:39 PM

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, “চট্টগ্রাম ও খুলনায় অনশোরে (ভূমিতে) দুটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি আমরা।”

তবে এই টার্মিনাল হতে আরও পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে বলে জানান তিনি।

মহেশখালীতে একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে টার্মশিট চুক্তি করেছে পেট্রোবাংলা। এক লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান এই টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫০০ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জ্বালানি বিষয়ক পত্রিকা ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ আয়োজিত ‘এনার্জি চ্যালেঞ্জ ২০৩০’ শীর্ষক এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বুয়েটের অধ্যাপক ম. তামিম।

তিনি বলেন, “সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। এর মধ্যে ১৭০০ মেগাওয়াট তেল থেকে, ৬৮০০ মেগাওয়াট আমদানি করা কয়লা থেকে, ১০২০০ মেগাওয়াট অভ্যন্তরীণ কয়লা থেকে, ৮৫০০ মেগাওয়াট গ্যাস থেকে এবং ৬৮০০ মেগাওয়াট পারমানবিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অন্যান্য উৎস থেকে।

“৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রতিবছর জ্বালানি খরচ দাঁড়াবে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।”

বিশাল এই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করলেও সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকার এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

নসরুল হামিদ বলেন, “হয়ত কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে; কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ীই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”

গ্যাস আমদানির পাশাপাশি দেশীয় কয়লা উত্তোলনের বিষয়েও কথা বলেন নসরুল হামিদ।

“আমরা এই মুহূর্তে কয়লা উত্তোলন করতে চাচ্ছি না। ভবিষ্যতে হয়ত এই কয়লা ব্যবহৃত হবে।”

২০৩০ সালের মধ্যে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান, বুয়েট শিক্ষক ইজাজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বদরুল ইমাম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।