চ্যালেঞ্জ ফান্ডের অর্থায়নে চরবাসীদের অগ্রাধিকার: গভর্নর

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ তহবিল থেকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে চরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর আতিউর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2015, 02:06 PM
Updated : 22 August 2015, 02:07 PM

তিনি বলেছেন, চরবাসীর জীবন মান উন্নয়নে ভোকেশনাল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ থেকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে চরবাসীদের নিয়ে কর্মরত প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে চর জীবিকায়ন কর্মসূচি (সিএলপি) আয়োজিত ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।ৎ

চ্যালেঞ্জ ফান্ড নামে বিশেষ এই তহবিলের আওতায় পশু পালনের জন্য ৫ শতাংশ সুদে ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করা হয়েছে।

এর বেশির ভাগ যাতে চরের মানুষদের উন্নয়নে ব্যয় হয় তা নিশ্চিত করতে সেমিনারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন গভর্নর।

আতিউর বলেন, “আমি দেখতে চাই, চর হবে বাংলাদেশের সবুজ ক্ষেত্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও টেকসই অর্থায়নের মাধ্যমে এই চর কমিউনিটিকে গড়ে তুলতে হবে।

“চরের স্থিতিশীলতা রক্ষা একটি বিরাট ঝুঁকি। এজন্য এখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে।”

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরও জোরালো নীতি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান গভর্নর।

সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কুমার বিশ্বাস সিএসআর নীতি ও কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সিএলপির টিম লিডার ম্যাথিউ প্রিচার্ডের সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নওশাদ আলী চৌধুরী, এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস-উদ-দৌলা ও সিএলপির পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড গর্ভনেন্স) রাবেয়া ইয়াসমীন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ান এইড ও যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (ইউকেএইড) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় উত্তরবঙ্গের ১০ জেলায় সিএলপি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এর আওতায় চরবাসীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা, অতিদরিদ্র পরিবারের আয়-উপার্জন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ হচ্ছে।