পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (মাসওয়ারি) ভিত্তিতে জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা জুনে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ছিল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি বিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিকল্পনামন্ত্রী মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ পোশাক ও প্রসাধনী বিক্রি হওয়ায় খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূলত এ কারণেই সাধারণ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।”
এক মাস রোজা শেষে গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। প্রতি বছর ধর্মীয় এ উৎসবেই সবচেয়ে বেশি পোশাক ও জুতো বিক্রি হয় সারা দেশে।
জুলাইয়ের এই রমরমা বাজারের প্রভাবে খাদ্য বহির্ভূত খাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা আগের মাসে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ ছিল।
আর খাদ্য খাতে মূলস্ফীতি জুনের ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ হয়েছে।
জুলাই মাসে গ্রামাঞ্চলের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ থেকে সামান্য কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে শহর এলাকায় তা ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ হয়েছে।
গত মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশে নেমে এলেও এরপর গত তিন মাস ধরেই তা বাড়ছে।